☝নুপুর পায়ে নলিতা 💛💛💛
নলিতা রহিম উদ্দিন স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। তাহার স্বাদ বা ইচ্ছার শেষ নেই । একদিন বাবাকে সে বলল বাবা আমার এক জোড়া নুপুর লাগবে। কিন্তু বাবা তাকে আশ্বাস করলো কিনে দিবে কিন্তু তখন বাবার কাছে টাকা ছিল না।
অনেক দিনে কেটে গেল কিন্তু পায়ের নুপুর কেনা হলো না। তার পর নলিতা ভাইয়ের কাছের আবদার করলো একজোড়া সোনার নুপুরের কিন্তু ভাইও আশ্বাস দিলে কিনে দিবে কিন্ত ভাইয়ের কাছেও টাকা ছিল না।
👄👄অনেক দিনে কেটে গেল কিন্তু পায়ের নুপুর কেনা হলো না। একদিনে স্কুলে যাবার সময় সে আম বাগানের ভিতরে একটি নুপুর দেখতে পেল এবং সে কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে গেল।
সে বৃষ্টি ভেজা এক সকালে নুপুরটি পায়ে পড়ল এবং বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করল । সে কল্পনায় হারিয়ে যেতে থাকল মেঘের ভেলায় কিন্তু হটাৎ একটি নুপুর দেখতে পেল এবং সে কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় ফিরে আসল।
তার নুপুর জোড়া ছিল সোনার, সে বহু যত্ন করে রেখে দিলে তার কিছুদিন পর পত্রিকায় আসলো একজোড়া সোনার নুপুর হারিয়ে গেছে আবিদা নামের এক মহিলার , উনি তাদের পাশের গ্রামেই থাকে। আবিদা নুপুর হারানোর ঘটনা নিয়ে থানা পুলিশ এমনকি থানায় সাধারন ডাইরিও করেছে।
এসব কথা শুনতে পেয়ে নলিতা ভয় পেয়ে গেল । তাহলে এটা কি আবিদা আপার নুপুর নাকি অন্য কারো, আবিদাই বা কেন আসবে আমাদের আঙ্গিনায় বা আমবাগের গভীরে, যেতেও পারে যেহেতু সাত্তার ভাইয়ের সাথে তার এক ধরনের লেনা-দেনা আছে। কিন্তু আমাদের আঙ্গিনায় কেন আসবে? বিভিন্ন কথা ভেবে ভেবে খুবেই চিন্তিত হয়ে পড়ল। তাহলে কি হাত ছাড়া হবে আমার এই নুপুর গুলো।
একদিন নলিতার বাবাও নুপুর গুলো দেখলো এবং জেরার মুখে পড়তে হলো।
বাবা বলল, কোথায় পেয়েছে নাকি চুরি করেছো? কে তোমাকে দিল ? তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। নলিতা আরো চিন্তিত হয়ে পড়লো। অন্য কিছু মনে করে বাবা তাকে বকা-ঝকা করলো। মা-ভাই তার সাতে দুর-ব্যবহার করা শুরু করলো।
কিন্তু তাতে ও নুপুর ফেরত দিতে রাজি হলো না। অনেক হিট টর্চার করা পর থানায় নিয়ে জমা দেওয়ার মুহূর্তে শুনতে পেল । আবিদা পুলিশের সহয়তায় নুপুর জোড়া ফেরত পেয়েছে। তখন নলিতার বাবা খুবই মর্মাহত বা অনুশোচনা বোধ সৃষ্টি হলো কেনই আমার সরল-সোজা মেয়েটি কে প্রহার করলাম।
তখন তারা বাড়ি ফিরার পথে এক যুবকের সাথে দেখা হলো এবং তার সাথে নলিতার বাবার দহরম-মহরম সম্পর্ক হয়েছিল।
একদিন এক মহিলা ও তার স্বামি তাদের বাসায় নলিতার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে । তার ছেলে এবং ছেলের কর্ম দেখে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়। আবির নামের সেই ছেলের সাথে নলিতার বিয়ে হয়ে য়ায় ।
বাসর রাতে তার স্বামি আবির তাকে একই রকম নুপুর গিফট দেয়। এতে নলিতা অবাক হয় এবং বিস্ময় চোখে তাকিয়ে জড়িয়ে ধরে , চিৎকার করে।