Ticker

6/recent/ticker-posts

বয়স্ক লোকের প্রেমের ভিমরতি The old man's love affair

বয়স্ক লোকও প্রেমে পড়ে এটা প্থিবীর মানুষের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বটে কিন্তু অনেক মানুষ এটাকে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারে না। 

আমার যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন আমার বাবা মারা যান কিন্তু আমি বাবার মৃত্যুকে প্রায় সহজ ভাবে নিয়েছিলাম কিন্তু অনেক পড়েই আমি বুঝতে পারি , আমি কি যেন একটি হারিয়ে ফেলেছি। আমি আমার মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলাম , পারিবারিক অর্থনৈতিক সংকট প্রায় লেগেই থাকত। মা আমাকে নিয়ে অথৈয় সাগরে পড়ে গেল, কি করবে ভেবে পাচ্ছিল না।

সেই সময় আমারদের পরিবারে মিনু কাকু সংসারের ঢাল হয়ে দাড়ালেন। মিনু কাকু মাঝে মাঝে বাজার সদায় করে আনতেন এবং আমাদের সাথে মাঝে মাঝে খাওয়া দাওয়া করতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার জন্য মা অনেক সহয়তা করেছেন। কিন্তু মা কিভাবে অর্থ যোগান দিতো তা বোঝতাম না। 


একদিন মাকে রিক্সায় মিনু কাকুর সাথে দেখতে পাই এবং জড়াজড়ি অবস্থায়। এটা আমার মনকে ভীষণভাবে কাদিয়ে বেড়াত । কিছু দিন পর দেখলাম মিনু কাকু আমাদের বাসায় থাকতে শুরু করেছেন, মা ও কিছু বলছে না । উনি আমাদের ঘরের কিছু আসবাবপত্র ও মায়ের কাপড় ও গহনা কিনে এনেছে । মা ঐসব জিনিস ভালবাসার সাথে গ্রহন করল কিন্তু আমার মন সাড়া দিলো না। আমি একা রোমে ভাবতে লাগলাম এবং এসব মেনে নিতে পারলাম না। আমি একা বাসায় পড়তাম কিন্তু মিনু কাকুকে আমার সহ্য হতো না এবং সেও আমাকে একটা বেশি ভালবাসার আদরে জড়াতো না। 

একদিন আমি আমার গৃহশিক্ষকে এসব কথা বললাম কিন্তু উনি এতে সম্মতি দিলেন এবং বললেন তুমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র , তোমাকে বুঝা উচিত যে প্রত্যেক মানুষের একটা নিদিষ্ট বয়স পর্যন্ত প্রেমের আবেগ ও সেক্স করার ইচ্ছা পোষণ করে। তোমর মায়ের বয়স কম উনিতো একজন নারী , উনার বেলায়ও এটা ঘটতে পারে। এতে তুমি বিচলিত হয়োনা। কিন্তু শিক্ষকের এসব কথা আমার মন গলাতে পারল না। আমি মায়ের এসব লীলাখেলা মেনে নিতে পারলাম না। এমন এক সময় আসল যে , আমি আমার মাকে হত্যা করতে চাইলাম এবং হত্যা করার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।

পরে ভাবলাম যে , এখন যদি হত্যা করি তাহলে পড়ালেখার খরচ কিভাবে পাব। পড়াশোনা শেষ করে এর মুক্ষম জবাব দিবো। আমি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম এবং মেসে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে গেলাম , মাঝে মাঝে দ্বিতীয় বাবার বাসায় আসতাম। বাবা একদিন আমায় ডেকে বলল বাবা এখন তোমাকে কিছু বলার সময় হয়েছে , এতদিন তোমাকে বললেও হয়ত তুমি আমার কথাগুলোকে অবজ্ঞা করতে , এখন তুমি বড় হয়েছো।

আমারো মনটা সাড়া দিলো বাবার কথাগুলো শুনতে , তার কথা শুনে এতদিন পর মনটা জুড়িয়ে গেল। মনে হলো আমার সত্যিকারের বাবাকে খুজে পেয়েছি। উনার মধ্যে আমার বাবার সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি টি দেখতে পেলাম। কিন্তু কিছুদিন পর মা গত হওয়ার পর আবার উনি বিয়ে করলেন কিন্তু উনার সাথে আগের মত সর্ম্প্ক আর রইলনা।